চার্লস ডারউইন

`বিবর্তনবাদ` তত্ত্ব !

অনলাইন ডেস্ক

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত : ১১:২৪ এএম, ৯ মে ২০১৪ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:২১ এএম, ২৩ মে ২০১৪ শুক্রবার

চার্লস ডারউইন

চার্লস ডারউইন

চার্লস ডারউইন প্রথম প্রাণিজগতের নানা প্রজাতি সৃষ্টির যুক্তিসংগত তথ্য-প্রমাণ দিয়ে `বিবর্তনবাদ` নামের তত্ত্বটি দেন। মানুষ তো বটেই এমনকি সমগ্র প্রাণিজগতের সৃষ্টি নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক বহু বছর ধরেই বিদ্যমান। ডারউইন যুক্তি সহকারে প্রমাণ দিয়ে দেখান যে প্রাণীদের সব প্রজাতিই বহু বছর ধরে ক্রম উৎকর্ষ সাধন আর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ প্রাণীদের সৃষ্টি নিয়ে এক ধরনের মতামত প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে যুক্তিসংগত জোরালো কোনো মতবাদ ছিল না। ডারউইনের এ তত্ত্বই এখন পর্যন্ত প্রাণিজগতের সৃষ্টি সম্পর্কিত সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য মত। বিবর্তনবাদের জনক এই বিজ্ঞানী ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি ভর্তি হয়েছিলেন মেডিক্যাল স্কুলে। কিন্তু লাশ ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে মেডিক্যালে পড়াশোনার ইচ্ছা উবে যায় ডারউইনের। পরে ডারউইনের বাবা ছেলেকে ধর্মবেত্তা হওয়ার জন্য ভর্তি করিয়ে দেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজে। এখান থেকে রেজাল্ট ভালো না হলেও কোনো রকমে ডিগ্রি পেয়েছিলেন ডারউইন। পরে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর `বিগল` নামের জরিপ জাহাজে প্রকৃতিবিদ হিসেবে কাজ নেন। পাঁচ বছর জাহাজে চড়ে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। এ সময়ে তিনি নিবিড়ভাবে বিভিন্ন প্রাণীকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পান। এ সময়ই তাঁর বিবর্তনবাদ তত্ত্ব আবিষ্কারের ভিত্তি রচিত হয়। ১৮৫৯ সালে প্রকাশিত হয় ডারউইনের বিখ্যাত গ্রন্থ `অরিজিন অব স্পিসিস`। ১৮৮২ সালের ১৯ এপ্রিল বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানী মারা যান। বিজ্ঞানী জন হার্শেল ও আইজ্যাক নিউটনের সমাধি পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।