প্যানিক বাটন` সাংবাদিক এবং অ্যাক্টিভিস্টদের রক্ষায়

অনলাইন ডেস্ক

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত : ১০:৫৮ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:০১ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৪ বুধবার

প্যানিক বাটন`

প্যানিক বাটন`

সে জন্য এক বিশেষ মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল,আক্রমণের মুখে পড়া সাংবাদিক কিংবা অ্যাক্টিভিস্টরা যাতে দ্রুত সাহায্য চাইতে পারেন। সাংবাদিকরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, তবে ঝুঁকিও আছে।
 বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে ‘প্যানিক বাটন` নতুন নয়। সাধারণত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য এই বোতাম টেপেন তাঁরা। তবে সেটা তাঁদের স্মার্টফোনে নয় বরং হাতে বাঁধা কোনো যন্ত্রে থাকে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবার এই ‘প্যানিক বাটন` নিয়ে এসেছে সাংবাদিক এবং অ্যাক্টিভিস্টদের কাছে। স্মার্টফোনে থাকা বিশেষ বোতাম টিপে সাহায্য চাইতে পারবেন তারা।
অ্যামনেস্টি এ জন্য তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইআইল্যাবসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়েছে। তাদের তৈরি অ্যাপটি অনেকটা নীরবেই ব্যবহারকারীর বিপদের কথা তিনটি জরুরি নম্বরে মেসেজ আকারে পাঠাতে সক্ষম। এ জন্য শুধু ফোনের অন/অফ বোতাম নির্দিষ্ট নিয়মে কয়েকবার চাপতে হবে। এরপরই ফোন থেকে ব্যবহারকারীর জিপিএস লোকেশনসহ মেসেজ চলে যাবে কাঙ্খিত গন্তব্যে। আর অ্যাপটি স্মার্টফোনে অনেকটা গোপনই থাকে। সহজে সেটিকে সনাক্ত করাও সম্ভব নয়।
আপাতত শুধু অ্যান্ড্রয়েডের জন্য রয়েছে এই অ্যাপ। গুগল স্টোর থেকে সেটা বিনা খরচায় ডাউনলোড করা যাবে। তবে একই ধরনের নামে আরো কয়েকটি অ্যাপস রয়েছে স্টোরে। তাই আইআইল্যাবের তৈরি অ্যাপটি বেছে নিতে অনুরোধ করেছে অ্যামনেস্টি। সংগঠনটির কর্মকর্তা তানিয়া ও`ক্যারল বলেন, ‘‘আমরা বর্তমানে ষোলটি দেশের অ্যাক্টিভিস্টদের অ্যাপটির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।``
 তবে সংকটপূর্ণ এলাকায় স্মার্টফোন ব্যবহারের ঝুঁকিও রয়েছে। তাই এই অ্যাপ ব্যবহারের জন্য ফোন চালু করে বিপদেও পড়তে পারেন সাংবাদিক কিংবা অ্যাক্টিভিস্টরা। সাংবাদিক এবং আলোকচিত্রী ডানিয়েল এটার এই বিষয়ে বলেন, ‘‘কয়েকবছর আগে আমি যখন প্রথম সিরিয়া গিয়েছিলাম, তখন কখনোই ফোন চালু করিনি।``
এটার সে সময় সিরিয়ার বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় একাধিকবার গেছেন এবং সেখান থেকে রিপোর্ট করেছেন। নিজের ব্যক্তিগত ফোন চালু না করায় নিজের পরিচয় গোপন রাখা সহজ হয়েছিল বলে মনে করেন তিনি। কেননা সিরিয়ার মোবাইল নেটওয়ার্কে কোনো বিদেশি ফোন শনাক্ত হলেই সে দেশের শাসকরা সেই ফোনের উৎস সন্ধান শুরু করে এবং সেটিকে নজরদারিতে রাখে। এমনকি ফোনের বাহককে আটকও করা হয়।
এমন ঝুঁকি সত্ত্বেও বিপদের সময় স্মার্টফোন ব্যবহারের পক্ষে অবস্থান অনেকের। আর পুলিশ কিংবা সন্ত্রাসী যারাই আটক বা অপহরণের চেষ্টা করুক না কেন– সে খবর দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে ‘প্যানিক বাটন।` এটারও মনে করেন ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে কাজ করা সাংবাদিকদের রক্ষায় অ্যাপটি সহায়তা করতে পারে।
সূত্র : ডয়চেভেলে