বেড়া উপজেলার ১৯নংচরসাড়াশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন

মুক্তআলো২৪.কম

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০৭:২৬ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার

বেড়া উপজেলার ১৯ নং চরসাড়াশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হওয়া বিদ্যালয় টি  পুনঃ নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর।

বেড়া উপজেলার ১৯ নং চরসাড়াশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হওয়া বিদ্যালয় টি পুনঃ নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর।


বেড়া, পাবনা  প্রতিনিধিঃ পাবনায় বেড়া উপজেলার ১৯ নং সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয় টি রাক্ষুসে রুপ নেওয়া যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে গত বছর ।বেড়া উপজেলায় ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভাঙনের আশঙ্কায় নাম মাত্র টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে চর সাড়াশি্য়া  প্রাথমিক  বিদ্যালয়   এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ভাঙন রোধে কোনো কাজ না করে গ্রামের এই বিদ্যালয়টি নিলামে বিক্রি করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

এ বছরের ভাঙন আতংকের ছাপ এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে বেড়া উপজেলার চর  সাড়াশি্য়া প্রাথমিক  বিদ্যালয়টি। এ  বছর ভাঙন আতঙ্কে স্কুলটির কয়েকটি ভবনের টিনের চালসহ আসবাবপত্র সরানো হয়। সে বছর স্কুলটি রক্ষা পেলেও চলতি বছরে যমুনা নদীর ভাঙন হুমকিতে পড়ে এলাকার একমাত্র ১৯ নং চর সাড়াশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়  যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে  এমন আশঙ্কায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টির একটি চারতলা ও একটি দ্বিতলা ভবন নিলামে বিক্রি করা হয়।   এখন সেটার আসবাবপত্র চরসড়াশিয়া মৌজায় জমিদাতার বাড়িতে রাখা হয়েছে। বিলীন হওয়া বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫০ জনের মত। বিদ্যালয় টি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর বিদ্যালয়ের পাশে আরালিয়া মাদ্রাসার একটি ঘরে ক্লাস হচ্ছে যা আবার নদীতে বিলীন হওয়ার আস্কায়। সেখানে ছাত্র ছাত্রীর উপস্থিতি  মাত্র ৫০/৬০ জন। এর কারন হল পূর্বের  বিদ্যালয়ের জায়গা পরিবর্তন।  প্রায় ২ শতাধীক ছাত্র ছাত্রী চরসাড়াশিয়া মৌজায় বসতি স্থাপন করায় ক্লাসে যেতে পারে না। তাই বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের  দাবি পর্বের চরসাড়াশিয়া মৌজায় স্কলটি স্থাপন করা জরুরী । এতে ২ শ জন শিক্ষার্থী  নিয়মিত স্কুলে যেতে পারবে।তা না হলে তাদের লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।  এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক ও বেড়া নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন দিয়েছে অভিভাবক গন বিদ্যালয় টি পুর্বের মৌজায় স্থাপনের জন্য। 

চর সাড়াশি্য়া  সরকারি প্রাথমিক  বিদ্যালয়ের ভার  প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক  নয়ন  বলেন, বর্তমানে যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি বর্তমানে আড়ালিয়া  মৌজায় ক্লাস হচ্ছে তবে ৮৫% শিক্ষার্থী  সাড়াশি্য়া  ও চড় সাড়াশি্য়া  বসবাস করছে সেই তুলনায়  চর সাড়াশি্য়া মৌজায় বিদ্যালয় টি পুনঃ স্থাপন করা দরকার।  এতে ২ শত শিক্ষার্থী  পড়ালেখা করতে পারবে। অন্য মৌজায় হলে তাদের লেখা অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে। 
চর সাড়াশি্য়া  গ্রামের রফিকুল, আকাশ সহ সোহাগ বলেন বেড়া উপজেলার , ১৯  নং   চর সাড়াশিয়া  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ৮৫% শিক্ষার্থী বাড়ি চরসাড়াশিয়া মৌজায় বসবাস করে তাই বিদ্যালয়  টি পুর্বের চড় সাড়াশি্য়া  স্থাপন করা জোরর দাবি জানাচ্ছি।   তা না হলে ৮৫ % শিক্ষার্থী পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। 

বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোরশেদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়টির  নদী গর্ভে বিলিন গেছে। আপাতত হাটাইল আড়ালিয়া মৌজায় মাদরাসার  ক্লাস হচ্ছে এখনো চুড়ান্ত কোন সিধান্ত নেওয়া হয়নি। সেখানে সরকারি কিছু টিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । সেটি যাচাই-বাছাই করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের সম্বনয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেতন দিবেন। তার সিধান্ত নওয়া হবে। 

বেড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগম জানান, বিদ্যালয়ের জন্য ৩ লক্ষ  বরাদ্দ পেলে বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন তৈরি করা হবে। আপাতত এলাকার মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ছে। 

 

 

 







মুক্তআলো২৪.কম/উজ্জ্বল হোসাইন