রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের ভয়াবহ সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর-আগুন

মুক্তআলো২৪.কম

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০৯:৩৭ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার

​​​​​​​চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির কেন্দ্রীয় দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ছত্তারঘাট এলাকায় এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

​​​​​​​চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির কেন্দ্রীয় দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ছত্তারঘাট এলাকায় এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। 


চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির কেন্দ্রীয় দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ছত্তারঘাট এলাকায় এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

হামলা-ভাঙচুরের শিকার হয়েছে পুলিশের একটি পিকআপ, গোলাম আকবর খন্দকারের একটি জিপ গাড়ি এবং পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তিনটি মোটরসাইকেল।

সংঘর্ষ হয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‍্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করলে একই সময়ে গোলাম আকবর খন্দকারের গাড়িবহর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু করে, যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। আহতদের মধ্যে অনেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, গুলির কোনো প্রমাণ মেলেনি।
 

গোলাম আকবর খন্দকার অভিযোগ করেন, আমরা কবর জিয়ারতের কর্মসূচিতে যাচ্ছিলাম। গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আমাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। আমার অন্তত ৩০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, রাউজান পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল হক বলেন, আমরা পূর্বঘোষিত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করছিলাম। হঠাৎ গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের লোকেরাই নিজের গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) রাসেল পিপিএম সেবা দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, সংঘর্ষের সুনির্দিষ্ট কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গুলির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ঘটনার পর উভয়পক্ষই একে অপরকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ বলে আখ্যায় দেয় এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এ বিষয়ে অবহিত করেছে বলে দাবি করেছে। এ ঘটনায় বুধবার মুন্সির ঘাটায় প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে কাদের চৌধুরীপন্থীরা।









মুক্তআলো২৪.কম